• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১
logo
বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ‘প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ণ’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রথমে তারেক রহমান নিজের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করেন। পরে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সবাই নিজ নিজ সদস্যপদ নবায়ন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবরা এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সংশ্লিষ্ট নেতাদের যথাসময়ে বিএনপির ‘প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ণ’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আরটিভি/এআর
৬ ঘণ্টা আগে

প্রাথমিকে ৬ হাজার ৫৩১ পদে নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‍তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সুপারিশ ও নিয়োগপত্র পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জন নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।  সোমবার (৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলেও তৃতীয় ধাপের নিয়োগ আটকে আছে। এই নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ইতোমধ্যে চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে তিনটি শুনানির পরও কোনো সুরাহা হয়নি।  সুপারিশপ্রাপ্তরা আরও জানান, প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য অন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন অনেকেই বেকার।  চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  পরীক্ষার ফল ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। ১২ জুন ভাইভা শেষ হয়। এরপর গত বছরই নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়। কিছু কিছু উপজেলায় চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদানপত্রও হাতে পেয়েছেন। আরটিভি/আরএ/এস
০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩

ভিয়েতনামে মহান বিজয় দিবস উদযাপন / বিজয়ের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার 
বিজয়ের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।   সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।   এদিন ব্যানার, ফেস্টুন, ফুল এবং রঙিন আলোকসজ্জায় সাজে সজ্জিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর প্রবাসী বাংলাদেশি, হ্যানয়ে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন। বিজয় দিবস উদযাপনের শুরুতে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদযাপন শুরু হয় এবং বিকেলে খেলাধুলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদযাপনের চূড়ান্ত পর্বে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে  জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা; মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।  অনষ্ঠিানে উপস্থিত সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এর চেতনা আমাদের সকল উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র। বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পে নেতৃত্ব প্রদান এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি বৈষম্যহীন উন্নত, সমৃদ্ধ ও আরও মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একযোগে কাজ করে যাওয়ার বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোন এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের আগত অতিথিদের বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি মহান বিজয় দিবসের গৌরবময় অর্জনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা ধারন করে দেশ মাতৃকার উন্নয়নের জন্য প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে কাজ করার অনুরোধ করেন।  আলোচনা পর্ব শেষে খেলাধুলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। পরে অতিথিদের মাঝে দেশীয় খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ভিয়েতনামে সরকারি সফরে রয়েছেন। আরটিভি/কেএইচ
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪

পুরোনো টেন্ডার বাতিল করায় ১ জানুয়ারি হচ্ছে না বই উৎসব
গত ৫ আগস্টের পরে পুরোনো টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার আহ্বানের ফলে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, বই বিতরণে কিছুটা দেরি হলেও প্রাথমিকের বই জানুয়ারির মধ্যেই বিতরণ করা সম্ভব হবে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডা. বিধান রঞ্জন। তিনি বলেন, যেহেতু বাইরের একটি দেশের বই ছাপার কথা ছিল। ৫ আগস্টের পরে সেই টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার আহ্বানের ফলে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ জন্য বই বিতরণে কিছুটা দেরি হলেও প্রাথমিকের বই জানুয়ারির মধ্যেই বিতরণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের ওপরে কিছুটা বাড়তি চাপ পড়বে এটি ঠিক। এটি মেনে নিতে হবে। কারণ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে সকল ক্ষেত্রেই একটি প্রভাব পড়ে। যেটি শিক্ষাক্ষেত্রেও পড়েছে। এটি মেনে নিয়েই আমাদেরকে সামনে এগোতে হবে। বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হবে, যা আগামী বছরই প্রকল্প আকারে চালু হচ্ছে। এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন জায়গায় গুণগত পরিবর্তনেরও কথা জানান তিনি। আরটিভি/এফএ
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৫৮

সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির গ্রেপ্তার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাকির। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন, জমি দখলসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। আরটিভি/আরএ/এসএ
২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২২

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ব্রডব্যান্ড কানেকশন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ৩৬টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) বিদ্যালয়গুলোয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করবে। বুধবার (৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইএমডি শাখার পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মহিউদ্দীন আহমেদ তালুকদার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘ইস্ট্যাবলিশমেন্ট ডিজিটাল কানেকটিভিটি (ইডিসি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। মহিউদ্দীন আহমেদ তালুকদার জানান, সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ইডিসি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়গুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। মোট ৩৬টি আইএসপি এ সংযোগগুলো স্থাপন করবে। কবে নাগাদ সব স্কুলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইডিসি প্রকল্পের সঙ্গে এমইউ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ সব স্কুলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন স্থাপন করা হবে সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না। এর আগে, ২০২২ সালে ৪১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামীণফোনের আওতায় ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আরটিভি/একে/এসএ  
০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৪

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি করল সরকার, সদস্য হলেন যারা
প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিখন-শেখানো কার্যক্রমের উৎকর্ষ সাধনে পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে সরকার। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মরিয়ম বেগমের সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিখন-শেখানো কার্যক্রমের উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কনসালটেশন (পরামর্শক) কমিটি গঠন করা হলো। ৯ সদস্যের এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিদ্যালয়)।  কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সাবেক সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির রেজিস্ট্রার এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. রফিকুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূরুল আলম। আরটিভি/এসএপি/এআর  
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৫১

কার তামাকের কলকেতে কে সুখ টান দেয়
উহুদের যুদ্ধের শিক্ষা যেন ভুলে না যাই। মুসলমানদের প্রাথমিক বিজয় কীভাবে হাতছাড়া হয়ে পরাজয় সে বিজয়কে গ্রাস করে। প্রতিরক্ষা ব্যূহ ছেড়ে বিজয় উদযাপনে মনোযোগী হয়ে পড়ায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। প্রাথমিক জয়ে প্রতিরক্ষা অরক্ষিত রেখে বিজয়ের আনন্দ উদযাপন, গনিমতের মাল বণ্টনে মশগুল হওয়ায় চরম মূল্য দিতে হয়েছিল মুজাহিদদের। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অভ্যুত্থানের পর প্রতি অভ্যুত্থান মোকাবিলায় সজাগ ও সরব থাকতেই হবে, নচেৎ বিপদের আশঙ্কা। দল ও গোষ্ঠীর কৃতিত্ব নিতে সম্মিলিত মহৎ আন্দোলনকে পাশ কাটানো কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। ভারহীন কথা সমাজমাধ্যমে বলে নিজের প্রচারে নিজের দক্ষতা জাহির করতে গিয়ে জাতীয় ঐক্য নিয়ে দলীয় গন্ধ ছড়ানো অনুচিত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো অর্বাচীনের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। টাউট শ্রেণির লোক মতলববাজ দলীয় উচ্ছিষ্টভোগীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন কাউকে খুশি করতে তাকে রূপকার, সুরকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, মাস্টার মাইন্ড ইত্যাদি বিশেষণ বলে তোয়াজ করছে, তেল মারছে শ্রুতি কটুভাবে নিজের ফায়দা লুটতে। বীরত্বের খেতাব কাড়াকাড়ির সময় এখন না। পিচ্ছিল সরু বিপৎসংকুল পথ দিয়ে চলছে দেশ। আন্দোলনে আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। সব নাগরিক এখনো স্বস্তি খুঁজে পায়নি। হয়তো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিশ্চয়ই কোনো পাকা মস্তিষ্কের দীর্ঘদিনের প্রতিকূল পরিবেশে বৈরী পরিস্থিতিতে আন্দোলনের অভিজ্ঞ নেতার মেধা কাজ করতে পারে যা তিনি আঁচ করতে দেননি। সেই মেধা জাতীয় সম্মিলিত আন্দোলনের ধারায় একাকার হয়ে এক স্রোতে স্বৈরাচার ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু তা এখন বলারও প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা জনগণের ধাওয়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন মাত্র। সমালোচকরা বলেন, তার অপমানের যন্ত্রণা সহ্য করার মতো পরিপক্বতা, ধৈর্য কোনোটা নেই। মাতা-পুত্র নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য নবীনদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপচারিতা করে বুকের ব্যথা বুকেই লুকিয়ে ক্ষমতা হারানোর বেদনা লাঘব করার চেষ্টা করছেন। বলছেন যেভাবে পদত্যাগ করতে হয় সেভাবে তিনি করেননি। টুস করে দেশে আসবেন। কথাটা সমালোচকদের বিনোদন জোগাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, যারা কোনো দল-মতের না, তারাই সংখ্যায় বেশি। তারাই রাজপথ দখল করেছিল, ছাত্রদের সঙ্গে রক্ত দিয়েছে বেশি তারাই। ছাত্র-জনতা আমাদের দিয়েছে নতুন ভাবনার জগৎ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে বেপরোয়া মতলববাজরা নির্লজ্জ চামচামির রেকর্ড বাজাচ্ছে। পতিত সরকারের মিডিয়া ফ্যাক্টরি ভোল পাল্টিয়ে নতুন সুরে আওয়াজ তুলছে। মতলববাজরা উঁচু গলায় নতুন সাজে জাতীয়তাবাদী হচ্ছে। এবারের আন্দোলনের লক্ষণীয় ছিল রাজনৈতিক পরিচয় কেউ দেয়নি, রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম ছিল না। এ অরাজনৈতিক আন্দোলনে কোথাও কোথাও রাজনৈতিক লোকজন কুলচিহ্নবাহী পতাকা ছাড়া, ঘোষণা ছাড়া, স্লোগান ছাড়া নীরবে ঢুকে পড়ছেন নির্দলীয় হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করতে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে। সবাই এক হয়ে লড়াই করেছে সরকার পতনের আখেরি রূপ দিতে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দারুণ এক বিস্ময়। বাংলাদেশের ৫ আগস্ট আন্দোলন নতুন অভিনব মডেল। একদিকে যেমন কেউ নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়দানে উৎসাহ দেখাননি, অন্যদিকে যোগদানকারীদের বেশির ভাগই সচেতনভাবে রাজনীতির ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলতে চেয়েছেন জাতিকে অরাজনৈতিক এক মঞ্চে ধরে রাখতে। রাজনৈতিক দলগুলো এ গণ আন্দোলনে নিজেদের ভূমিকা গোপন রেখেছে বলে মনে হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে সব রাজনৈতিক দল মিছিল নিয়ে মাঠে নামে। মনে থাকার কথা পতিত সরকার ক্ষমতায় বসেই জামায়াত নিধন অভিযান চালায়। ফাঁসি জেল মামলার শিকলে বাঁধা সব নেতা। বিএনপি ১৮ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে রক্ত ঝরিয়ে, জীবন দিয়ে, অর্থ দিয়ে, হিজরত করে, জেল জুলুম খুন গুমের অভিশাপে পর্যুদস্ত ক্লান্ত। কর্মীদের বিলুপ্ত করতে গায়েবি মামলা-হামলা খুন গুম চলেছে। দানবীয় সরকার আর জাহেলি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শক্তি যখন ক্ষয়িষ্ণু প্রায়, তখনই সাধারণ ছাত্ররা রাজপথ কাঁপাতে শুরু করল। বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ সফল করে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। চূড়ান্ত সমাবেশ ঢাকায়ও সফল হয়েছে। পুলিশ গোলাগুলির নাটক মঞ্চস্থ করে সব নেতা-নেত্রীকে জেলে ঢোকানোর অজুহাত বের করল। এ আন্দোলন রাজনৈতিক পরিচয়হীন শুধু নির্দলীয় ছাত্র দিয়ে শুরু। ছাত্র আন্দোলনকে দলীয়করণ করার চেষ্টা করলে জাতীয় ঐক্য দুর্বল হবে। দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে পুঁজি করে কেউ দলীয় আন্দোলন আখ্যা দিয়ে আবার দুর্নীতি চর্চা করলে তাদের ছাত্র-নাগরিক প্রতিহত করবে। জাতির নীতি হবে এখন ৫ আগস্ট ও এর আগে যে গণহত্যা, জুলুম অত্যাচারের শিকার দেশের মানুষ হয়েছে, এর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নৈরাজ্য, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজির রাজনীতির ইতি টানতে হবে। সারা দেশে লুটপাট, সহিংসতা যারা করেছেন তাদের এখনই ইনসাফ, ন্যায়ের পথে ফেরাতে হবে। অনেকের সঙ্গে চরম অন্যায় করা হয়েছে। অন্যায়কারীদের দেশের আইনে অবশ্যই বিচার করতে হবে। হাসিনার পলায়নকাণ্ডের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ঘটেচলা নানা উলটপালট দেখে পুরনো প্রবচনটি মনে পড়ে। গত চার দশকে রাজনৈতিক কর্মীদের দাপুটে হাবভাবের সমাজচিত্রের প্রেক্ষিতে মানুষের ধারণা হয়েছিল—এখানে সব আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি বা বাম-ডান দলের কর্মী সমর্থক থাকলেও বুঝি ‘মানুষ’ নেই। তারা অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছিলেন—এসবের বাইরে স্রেফ ‘মানুষ’ হয়ে উঠতে চাইলে, মানুষের মতো উচিত কথা বললে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে অনেক চড়া মূল্য দিতে হয়, হেনস্তা হতে হয়। কন্যাকে স্কুল-কলেজে পাঠাতে ভীতসন্ত্রস্ত থাকতে হয়। আবার প্রমাণ হলো পচা রাজনীতির খোলসের আড়ালেও আদতে প্রচুর আদর্শিক অসীম সাহসী দেশপ্রেমিক ‘মানুষ’ ছিলেন। এতদিন যারা ভয়ে ও অনিশ্চয়তায় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার সাহস পাচ্ছিলেন না। সব ভীতি প্রলোভনের ঊর্ধ্বে ওঠে ভয়কে জয় করে তারাই রাত জেগে শাহবাগ, রাজপথ দখল করেছেন, মিছিল করেছেন, দীর্ঘ মানবশৃঙ্খল গড়েছেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাঁটতে হাঁটতে আওয়াজ তুলেছেন পেছনে ফিরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকসহ ছাত্রদের ন্যায্য দাবির ডাকে বাংলাদেশ তো বটেই, মধ্যপ্রাচ্য আমেরিকা ইউরোপ পাকিস্তান ও ভারতের নানা রাজ্যে, পৃথিবীর নানা দেশে বয়স ও লিঙ্গ নির্বিশেষে যে অগণিত মানুষ রাত ও রাজপথের দখল নিতে নেমে পড়েছিলেন, তার তুল্য স্বতঃস্ফূর্ততা কবে বিশ্ব দেখেছে বলা শক্ত। তার চেয়েও বড় কথা, এ গণ আন্দোলন যে উৎসাহ ও প্রেরণার জন্ম দিয়েছে তার সুদূরপ্রসারী অভিঘাত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতি মরিয়া হয়ে আন্দোলনের অপ্রতিরোধ্য চালিকাশক্তি দেখে সেনাবাহিনীও দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন ছিল। কোনো নীলনকশা শেষ রক্ষা করতে পারেনি। দল গোষ্ঠীর বাহাদুরি সংকীর্ণ বিবেচনা না করে স্বাধীনতাকামী জনতার বাহাদুরির ইতিহাস এ আন্দোলন। আমজনতা তাদের নিজ বিবেকের তাড়নায় ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাদের একটাই স্বর, এক দাবি ছিল হাসিনা কবে যাবি! এক দফা শেখ হাসিনার পতন। সোজা আঙুলে ঘি না ওঠায় ছাত্র-জনতা ঢাকার চতুর্দিক থেকে গণভবনের দিকে অগ্রসর হয় হাসিনাকে হটাতে। অবস্থা বেগতিক দেখে বোনকে নিয়ে পালান শেখ হাসিনা। এখানে কোনো রাজনীতির ব্যানারে আন্দোলনের আলামত ছিল না। অবাক করা ঘটনা, দিনের পর দিন যে গণ আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল, সেগুলো এতই স্বতঃস্ফূর্ত যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেউ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর অপেক্ষা করেনি, নির্দেশনা আশা করেনি। প্রাথমিকভাবে ছাত্ররা কোটা সংস্কারের দাবিতে পথে নামে। তাদের ওপর জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের বুলডোজার চালিয়েও দমাতে পারেনি। নির্দলীয় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিসর আমজনতার প্রতিবাদী মিছিল শামিল হওয়ার ও প্রতিবাদী-সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা আন্দোলনকারীদের দখলে চলে যায়। সাধারণ নাগরিকরা তো ছিলেনই, একই সঙ্গে পেশাজীবী শিক্ষক, অভিনেতা, কবি, সংগীতশিল্পী, আইনজীবী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, যৌনকর্মী, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ, রিকশাচালক, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দেখা গেছে প্রতিবাদে শামিল হতে! দিন যত এগোচ্ছিল, আন্দোলনের আগুনের তেজ ততই বাড়ছিল। ঢাকা শহরকেন্দ্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিল দেশের প্রান্তিক শহরে। ছাত্র-জনতা হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শহীদ হয়েছে। আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর আর কোনো ছাত্র পেছাল না, শুধু জীবন দিতে উদগ্রীব হলো, দেশের মানুষকে জীবন দিয়ে মুক্ত করে গেল।  এখানে রাজনৈতিক দলের কোনো গন্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন যে আন্দোলনগুলো সংঘটিত হয়েছিল, তার বেশির ভাগই আহ্বান করছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন ছাত্র ও মানুষেরা, যাদের কথা অতীতে সেভাবে শোনা যায়নি। এমনকি তাদের অধিকাংশেরই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে উজ্জ্বল অংশগ্রহণের পূর্ব ইতিহাস নেই। ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের স্রোতের তোড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সরকার।  যে কোনো মূল্যে জাতীয় সংহতি বজায় রাখতে হবে। দেশ বাঁচাতে আন্দোলনের সফলতা ক্ষুদ্র কর্তা হওয়ার যে আনন্দ, তার চেয়ে বেশি মহিমা দেশের সব মানুষের আন্দোলনের ফসল আজকের মুক্ত দেশ এটা প্রচার করা। আসুন দেশ গড়ি, দেশের ভালোমন্দের আপনি আমি সবাই অংশীদার, সবাইকে সম্পৃক্ত করি দেশের কাজে। লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরটিভি/এআর  
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৫

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ডিজি আব্দুল হাকিম
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পেয়েছেন ড. মো. আব্দুল হাকিম। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ছিলেন। একই সঙ্গে আবু নূর মো. শামসুজ্জামানকে অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। অতিরিক্ত মহাপরিচালক হওয়া আবু নূর মো. শামসুজ্জামান শ্রম ও কর্মসংস্থা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে দুপুরে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা ১৫ দিনের আন্দোলনের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) পদ থেকে মো. আব্দুস সামাদকে সরিয়ে দেয় সরকার। বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। উপসচিব মো. আলমগীর কবিরের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করা হয়। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। আরটিভি/এএএ  
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৯

আজ থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ (১৪ আগস্ট) খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব সত্যজিত রায় দাশ স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে দেশের সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়।‌ এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, এতদিন শ্রেণিকক্ষ খোলা থাকলেও পাঠদান বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে পাঠদান পুরোদমে শুরু হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ৩ আগস্ট সংখ্যক স্মারকে জারি করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা এতদ্বারা রহিত করা হলো।
১৪ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়